ধারণা করা হচ্ছে, মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানসিক চাপের কারণে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নেন।
এক টুইটবার্তায় ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সাবেক প্রধান ডা. রবি ওয়ানখেদকর বলেন, ডা. বিবেক রাই নামের ওই চিকিৎসক ছিলেন খুবই মেধাবী। উত্তরপ্রদেশের গোরখাপুরে তার বাড়ি। মহামারিকালে শত শত মানুষকে প্রাণ বাঁচাতে তিনি সহায়তা করেছেন।
শনিবার (১ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, এক মাস ধরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি রোগীর সেবা করে কাটিয়েছেন। প্রতিদিন সাত থেকে আটজন আশঙ্কাজনক রোগীকে দেখতে হতো তাকে।
ডা. রবি ওয়ানখেদকর জানান, মানুষের মৃত্যু দেখতে দেখতে ওই চিকিৎসক মানসিক বিষণ্নতায় ভোগেন। এরপর হতাশা থেকেই একসময় তিনি আত্মহত্যার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিবেক রাইয়ের স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন তিনি। এ তরুণ চিকিৎসকের মৃত্যুর জন্য অপবিজ্ঞান, অপরাজনীতি ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারা খারাপ প্রশাসনকে দায়ী করেছেন আইএমএর এই সাবেক প্রধান।
তিনি জানান, করোনা রোগী সামলাতে ব্যাপক মানসিক চাপে পড়তে হয়। এ মৃত্যু সে বিষয়টিই সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি ‘সিস্টেমের’ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলা যায়। কারণ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির কারণে এই চিকিৎসকের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল।