মঙ্গলবার (৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে সুন্দরবনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। বনের কোথাও ধোঁয়ার কুন্ডলি নেই। তবে আগুন পুরোপুরি নিভলেও বনবিভাগ আগুনের এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখছে। আগুনে বনের এক দশমিক ৩১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। তবে আগুর লাগার কারণ সম্পর্কে কিছুই বলেনি বনবিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বনে লাগা আগুন নিভে গেছে। বিকেলের পর পানি ছিটানো এলাকায় আগুনের ধোঁয়ার কোনো কুন্ডলি দেখতে পাইনি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় গ্রামবাসী লোকালয়ে ফিরে গেছে। সবাই আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করায় দ্রুত আমরা আগুন নেভাতে পেরেছি। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বেলায়েত হোসেন বলেন, সোমবার গভীর রাত ও মঙ্গলবারের দুপুরের বৃষ্টি আমাদের আগুন নেভানোর কাজে দারুণ উপকার দিয়েছে। তবে আমরা আগুনের এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। নতুন কোনো এলাকায় আগুনের ধোঁয়া দেখতে পেলে বনকর্মীরা তা নেভাতে পারবে।
তিনি বলেন, আগুনে বনের এক দশমিক ৩১ একর বনভূমি পুড়ে গেছে। এই এলাকায় মূল্যবান কোনো গাছপালা ছিল না। যা পুড়েছে বলা, গেওয়া ও লতাগুল্ম জাতীয় গাছপালা। আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি টহল ফাঁড়ি এলাকার ২৪ নম্বার কম্পার্টমেন্টে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে আগুন নেভানোর কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করেছি। বনের কোথাও আগুন নেই। বনের প্রায় তিন একর এলাকায় মঙ্গলবার থেকে পানি ছিটানো হচ্ছিল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত পানি ছিটিয়ে সম্পূর্ণ আগুন নিভিয়ে ফেলি।
তিনি বলেন, যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেখান থেকে জলাশয় প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে। পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। পানির উৎস ভালো হলে আরও আগেই আগুন নেভানো সম্ভব হত বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটির প্রধান সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জয়নাল আবেদিন বলেন, আগুনে বনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করতে কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব।