মঙ্গলবার (৪ মে) দেশটির নিউজ পোর্টাল মিয়ানমার নাউ-এর খবরে বলা হয়েছে সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পশ্চিম বাগো শহরে এ ঘটনা ঘটে। এসব পুলিশ সদস্যরা সেনা শাসনের বিরোধিতা করতে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, পার্সেল বোমা বিস্ফোরিত হওয়ার পর অন্তত তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এক ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতা, তিন পুলিশ সদস্য এবং এক বাসিন্দা নিহত হয়। এছাড়া ওই বিস্ফোরণে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়া অপর এক পুলিশ সদস্যের হাত উড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে সহিংসতা চলছে।
বিক্ষোভকারীদের দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো গুলিতে নিহত হয়েছে শত শত মানুষ। বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা শুরু করেছে। সোমবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি একটি সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। দেশটির উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলে গোষ্ঠীটির সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই তীব্র হয়েছে। এছাড়া ইয়াঙ্গুনে সামরিক সরকারের নিযুক্ত একজন প্রশাসককে সোমবার ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।