শুক্রবার (৭ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির করা হলে বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা বেগম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাহীনূর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার পাটলী বড়বাড়ির মৃত আবদুল ছাত্তারের ছেলে। তিনি হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। তিনি বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের শেষ দিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের মৃত্যুর পর জোটের প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনের উপনির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নগরের বনকলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার পাশ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের ভাষ্য, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তিন দিনের সহিংসতার ঘটনায় কেন্দ্রীয় হেফাজতের এই নেতার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-নাশকতায় মদদ ও উসকানি দেওয়া এবং দেশের অভ্যন্তরে অপতৎপরতাসহ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করে রাতেই তাঁকে সিলেট থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে সিলেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৮ মার্চ সদর উপজেলার ভূমি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার মামলায় শাহীনূর পাশা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।