প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিকভাবে করোনার টিকার স্বল্পতার সমস্যা অবসান হলেও অন্তত চার কোটি ৬০ লাখ মানুষ টিকা পাবে না। বঞ্চিতদের এই তালিকায় রয়েছে গত ছয় দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলা কলম্বিয়ার ৫৬ লাখ মানুষ, কেনিয়া ও সিরিয়ার লাখ লাখ শরণার্থী এবং ইউক্রেনের অন্তত ৫০ লাখ অভিবাসী। এছাড়া ভারত, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিপুল সংখ্যক অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে এই তালিকায়। গত মার্চে করা তালিকায় পাকিস্তানের নাম এলেও পরে এটি সংশোধন করা হয়। কারণ পাকিস্তান বাস্তুচ্যুতদের টিকাদান প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভূক্ত করেছে।
গত কয়েক মাস ধরে করোনার টিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ার এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গ্রুপগুলো। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য টিকা বরাদ্দের প্রকল্প কোভাক্সের পেছনে যে গ্রুপগুলো রয়েছে তারা এ ব্যাপারে একটি কমিটি করেছে। তারা কোভাক্সের মাধ্যমে দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বরাদ্দ করা টিকা থেকে ৫ শতাংশ পৃথক করার আহ্বান জানিয়েছে। এই টিকাগুলো মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্সের মতো বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে অরক্ষিত ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।