খালেদা জিয়া গত ১১ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ওই দিন রাতেই পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ১৪ পর গত ২৫ এপ্রিল আবারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তখনো তিনি করোনা পজিটিভই ছিলেন।
শনিবার (৮ মে) বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক খালেদা জিয়ার করোনা নেগেটিভ হওয়ার কথা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এর আগে দুবার ও আজ নিয়ে মোট তিনবার খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিলের পরীক্ষায় খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ হলেও তাঁর শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। এ কারণে তাঁকে করোনামুক্ত ধরে নিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একজন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এর আগে তিনি গণমাধ্যমে বলেন, করোনা চিকিৎসার আন্তর্জাতিক গাইড লাইন অনুযায়ী করোনা শনাক্তের দুই সপ্তাহ পরে রোগীর শরীরে যদি কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির দ্বারা কেউ করোনা সংক্রমিত হবে না। এ কারণেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ‘ননকোভিড’ রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলছে, বিএনপির চেয়ারপারসন এখন করোনা-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন।