শনিবার ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলননে তিনি এ অভিযোগ করেন।
স্বামী হাবিবুর রহমানের লিখিত বক্তব্য বলা হয়, ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে স্বামী শেখ হাবিবুর রহমানের ২৭ লাখ টাকা উর্মি তার মামা শিমুলের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখেন।
পরে ২০১১ সালে ফ্ল্যাট কেনার নামে সেই টাকা আত্নসাত করে। এই আত্মসাতের সঙ্গে পাবনা জেলার পুলিশ সুপারও সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করে শেখ হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর রহমানের লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৪ সালে সৌদি আরবে ব্যবসা করতেন হাবিবুর রহমান। ২০০৭ সালে দেশে ফিরে পাবনা জেলার পুলিশ সুপারের ভাগনী তানজিল হক উর্মিকে বিয়ে করেন। বিয়েতে ১৭০ ভড়ি স্বর্ণের গহনা দেওয়া হয়। পরে বিয়ের একমাস পরই হাবিব বিদেশে চলে গেলে স্ত্রী উর্মির সঙ্গে হাবিবুরের পরিবারের সদস্যদের দ্বন্দ্ব লাগে।
২০০৮ সালে সৌদি আরব স্বামীর কাছে পারি জমায় উর্মিও। সেখানে গিয়ে বেপরোয়া ও উৎশৃঙ্খলা আচার আচরণের করেন তিনি। কিছু দিন পর স্বামী উর্মিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালে হাবিবুর রহমানকে নানা ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। এজন্য সামাজিকভাবে গ্রাম্য আদালতে বিচারও করা হয় কয়েকবার।
এদিকে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের মধ্যেই পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন স্ত্রী উর্মি যা বাসার সিসি ক্যামারা ফুটেজে ধরা পড়েন। এই পরকীয়ার প্রমাণ ধংস করার জন্য উর্মি সিসি টিভির ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন।
এই ঘটনার মধ্যে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে উর্মিকে তালাক দেন হাবিবুর। এর কিছু দিন পরেই পাবনা জেলার পুলিশ সুপার গোপালগঞ্জের পুলিশ পাঠিয়ে হাবিবুরের ব্যবহারিত প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো-গ-২৯-৩২০৪ নং গাড়ী থানায় নিয়ে যায়। এই সব কিছু আত্মসাত করেন স্ত্রী উর্মি। এমকি ইমাদ পরিবহন (প্রাঃ) লিঃ-এর বিভিন্ন রুটে বিভিন্ন সময়ে এস.পি রফিকুল ইসলাম শিমুল ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট ব্যবহার করে হয়রানী করছেন।
সন্তানদের লালন-পালনের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ হিসাব নং-৫৪১৬ নাম্বারে মাসে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। ২০২০ সালের প্রথম দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ ঢাকা মামলা নং-২(৩)/২০ তানজিলা হক উর্মি বাদী হয়ে স্বামী শেখ হাবিবুর রহমানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এই ভাবে নানা মিথ্যা মামলা জালে ফেলছে স্বামী হাবিবকে।