শুক্রবার (১৪ মে) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঈদে গ্রামমুখী মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে নতুন ধাক্কা লাগার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জানিয়ে কাদের বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শকে উপেক্ষা করার মাশুল গুণতে হতে পারে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরতেই হবে।
দেশবাসী তথা মুসলিম জাহানের প্রতি পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা আক্রান্তদের নিরাময় ও সুস্বাস্থ্য, প্রত্যাশা এবং নিরবচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি। সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে আমাদের মধ্যে গড়ে উঠুক মহামারি করোনাসহ সব সংকট জয়ের সুসংহত বন্ধন।
তিনি বলেন, পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শারীরিক দূরত্বও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সংকট পেরিয়ে আশার সুবর্ণ প্রদীপ জ্বালিয়েছে, ঠিক একইভাবে করোনা সংকট জয় করে আবার নব উদ্যমে কাঙ্খিত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনের গহীনের আলো জ্বেলে অমানিশার আধার দূর করি এবং সহমর্মিতার সহজাত বাঙালি চেতনায় জাগিয়ে তুলি নিজেকে, সমাজকে, দেশকে। এবারের ঈদ, শেষ ঈদ নয়, অপেক্ষা করি পরবর্তী সকালের, বর্ণময় ঈদের।
তিনি বলেন, এ দুঃসময়ে বিশেষ করে করোনাযুদ্ধে যারা সম্মুখ সারিতে থেকে যুদ্ধ করছেন, পরিবারের সদস্যদের দূরে রেখে সেবাকে করেছেন ব্রত সেসব ত্যাগী সম্মুখসারির যোদ্ধাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ঈদ মোবারক জানাই।