সেন্ট জেমস পার্কে ম্যাচ শেষে সবার চোখেমুখেই স্বস্তির হাসি। অন্য সবার চেয়ে আকর্ষণের কেন্দ্রে স্প্যানিশ তরুণ ফেরান তোরেস। বারবার রঙ বদলানো ম্যাচে তার জাদুতেই তো ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডেই শেষ রক্ষা হয়েছে গার্দিওলা বাহিনীর। ম্যাচ শেষেতো স্নেহ, ভালবাসা তারই প্রাপ্য।
ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ১২ জয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে সিটি। ছাত্রদের এমন কীর্তিতে গর্বিত কোচ গার্দিওলা।
এর আগে সেন্ট জেমস পার্কে আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নামে মাত্রই ইপিএলের শিরোপা জেতা ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষ নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলে পার্থক্য অনেক। তাই হয়ত সমর্থকরা ভেবেছিলেন ম্যাচে হেসে খেলেই জিতবে সিটি। কিন্তু শুরু থেকেই উল্টো ছড়ি ঘুরিয়েছে নিউক্যাসেল।
ম্যাচের ২৫ মিনিটেই ক্রাফথের গোলে লিড নেয় নিউক্যাসেল। শুরুতেই এমন ধাক্কা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সিটিজেনরা। ৩৯ মিনিটে জোয়াও ক্যানসেলো সমতায় ফেরান সিটিজেনদের। তিন মিনিট পরই জেমস পার্ক দেখে এক তরুণ তুর্কির ম্যাজিক। গুন্ডোগানের সহায়তায় ২-১ এ লিড উপহার দেন সিটিকে।
বিরতির পর আবারও ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়েলিন্টন। ৬২ মিনিটে আবারও সিটির দুর্গে হানা দেয় নিউক্যাসেল। জো উইলকক'কে কাইল ওয়াকার ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। প্রথম চেষ্টায় গোলরক্ষক স্কটের কাছে ধরাশায়ী হলেও, ফিরতি চেষ্টায় গোল করেন উইলকক।
গার্দিওলার তখন মান যায় যায় অবস্থা। মাত্রই শিরোপা জয়ের পরেই হোঁচট। তাও আবার নিউক্যাসেলের বিপক্ষে। কিন্তু না, ৬৪ ও ৬৬ মিনিটে নিউক্যাসেলকে হতাশ করে চমৎকার দুই গোল করে নিজের হ্যটট্রিক পূরণের পাশাপাশি জয়ও নিশ্চিত করেন তোরেস। ২৯ মে পর্তুগালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অল ইংলিশ ফাইনালের আগে এ জয় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে ফুটবলারদের জন্য।