কুন্ডলীর কাঠাইয়াতোলি রেঞ্জের প্রিন্সিপাল চিফ কনভারসেটর অব ফরেস্ট (ওয়াইল্ডলাইফ) অমিত সহায় বলেছেন, ওই এলাকাটি দূর্গম। উদ্ধারকারী দলের সেখানে পৌঁছাতে দুপুর লেগে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দুটি জায়গায় মোট ১৮ হাতি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তিনি জানান, পাহাড়ের উপরে ১৪ হাতির মৃতদেহ ও পাহাড়ের নিচে ৪ হাতি পড়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বজ্রপাতেই হাতিগুলোর মৃত্যু হয়েছে। হাতিগুলোর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
তবে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এটা নিশ্চিত হতে চাইছে কুন্ডলীর বনবিভাগ। চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন এবং ডিএফও’র (ডিস্ট্রিক্ট্র ফরেস্ট অফিসার) নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে। এদিকে একসঙ্গে এতগুলো হাতির মৃত্যুতে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যেও।
আসামের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য কাঠাইয়াতোলী রেঞ্জে ১৮ হাতির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আসামের বনমন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক হাতি রয়েছে আসামে। সবচেয়ে বেশি হাতি রয়েছে কর্ণাটকে। ২০১৭ সালের শুমারি অনুযায়ী, আসামে ৫ হাজার ৭১৯টি হাতি রয়েছে। তাবে সেখানে প্রায়ই বন্য হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে থাকে।