আইপিওতে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে আগ্রহীরা ৩০ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য ১৯ মে প্রতিটি বিও হিসাবে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের শেষ কার্যদিবস কমিশন সভা করে আইপিও আবেদনের নতুন নিয়ম করে বিএসইসি। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইপিও আবেদন করা প্রত্যেক বিনিয়োগকারী শেয়ার পাবেন। তবে আইপিও আবেদন করতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
বিএসইসির ওই কমিশন সভায় আইপিওর বিষয়ে চারটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত চারটির মধ্যে রয়েছে-
> সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিদ্যমান লটারি ব্যবস্থার পরিবর্তে আনুপাতিক হারে বরাদ্দ প্রদান।
> সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে নূন্যতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
> সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম চাঁদার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক হবে।
> বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বৈত সম্মতিপত্রের পরিবর্তে বিডিং এবং প্রসপেক্টাস প্রকাশের একসঙ্গে সম্মতিপত্র দেয়া হবে।
বিএসইসির এই নিয়মে প্রথম আইপিও আবেদন গ্রহণ করছে সোনালী লাইফ। কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন করতে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগের তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ১৯ মে। অর্থাৎ ১৯ মে যে বিও হিসাবে ২০ হাজার টাকার কম বিনিয়োগ থাকবে সে বিনিয়োগকারী আবেদন করতে পারবেন না।
গত ডিসেম্বরে সোনালী লাইফের আইপিও অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। সে সময় আইপিও আবেদন গ্রহণের সময় মার্চে নির্ধারণ করে দেয় হয়।
তবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে বিএসইসি আইপিও আবেদনের সময় পিছিয়ে মে মাস নির্ধারণ করে দেয়।
জানা গেছে, বিএসইসি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৯০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে। আইপিওতে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি সরকারি ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও খাতে খরচ করবে।
বিএসইসি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪৭ পয়সা (কোম্পানিটি কোনো সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেনি)। আর লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ার চাঁদা গ্রহণ শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চাশ কার্যদিবস শেষে চাঁদা প্রদানে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারীদেগর মধ্যে স্বীকৃত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ডের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য যোগী বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজারমূল্যে ন্যূনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছে বিএসইসি।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।