টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫ রানে চামিরার বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার তালুবন্দি হয়ে ফিরেন লিটন দাস। ৩ বলে তার নামের পাশে ০। দুই সিরিজ পর তিন নম্বরে ফেরা সাকিব আল হাসানের ব্যাটিংয়ে জড়তা ছিল। ৩৪ বলে ২ চারে ১৫ রান করে গুনাথিলাকার শিকার হন। ৬৬ বলে ফিফটি পূরণ করা তামিমের ইনিংস থামে ৭০ বলে ৫২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং একটি ছক্কা। চারে নেমে বাংলাদেশের ভরসা হয়ে দাঁড়ান সেই মুশফিকুর রহিম। ৫২ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ফিফটি পূরণ করেন।
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে পাঁচে নামা মোহাম্মদ মিঠুন 'গোল্ডেন ডাক' মেরে প্যাভিলিয়নে ফিরলে মুশফিকের সঙ্গী হন তার ভায়রা-ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটিতেই এগোতে থাকে বাংলাদেশ। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে জুটি পৌঁছে যায় তিন অংকে। এছাড়া মুশফিকও তিন অংকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য। ক্যারিয়ারের ৮ম ওয়ানডে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে তাকে থামতে হয়। মুশফিকের ৮৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ওভার বাউন্ডারিতে গড়া ৮৪ রানের ইনিংসটি থামে সান্দাকানের বলে উদানার তালুবন্দি হয়ে। ভাঙে ১০৯ রানের দারুণ এক জুটি।
মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া মাহমুদউল্লাহ ৭১ বলে ক্যারিয়ারের ২৪ নম্বর ফিফটি তুলে নেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে তার সঙ্গী হন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪৮তম ওভারে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে যান ৭৬ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ভীষণ প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ। শেষদিকে নেমে সুন্দর ব্যাটিং করেছেন আফিফ আর সাইফউদ্দিন। আফিফের ২২ বলে ২৭* আর সাইফের ৯ বলে ১৩* রানের দুটি ছোট অবদানে দলের স্কোর দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান।১০ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ধনাঞ্জয়া। বাকি তিন উইকেট তিন বোলার ভাগাভাগি করেছেন।