শুক্রবার (২৮ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত দুই মাস করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও বর্তমানে তা কমেছে। তবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৪৯৭টি পরীক্ষাগারে ১৪ হাজার ৬০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ শনাক্তের সংখ্যা নিয়ে দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জনে ও মোট মারা গেছেন ১২ হাজার ৫১১ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী। গতকাল বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১০৬৪ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২২১ জনে।
মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বয়স বিবেচনায় এদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিলেন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে ৭ জনের বয়স ৫১-৬০ বছর, পাঁচজনের বয়স ৪১-৫০ বছর, চারজনের বয়স ৩১-৪০ বছর, একজনের বয়স ১১-২০ এবং ০-১০ বছরের মধ্যে একজন ছিল ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষদিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। এ বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এ বিধিনিষেধ এখনো বহাল রয়েছে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও দৈনিক মৃত্যু কমেছে।