মশিউর রহমান বলেন, নতুন রুটে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার ও পাওয়ার কেবলের সঙ্গে ‘সি-মি-উই-৪’ সাবমেরিন কেবলের সংযোগ দিতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। ততক্ষণ ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা থাকতে পারে। তবে সেই সমস্যা এখনও বড় আকার ধারণ করেনি।
তিনি বলেন, গ্রাহকরা খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন না। কারণ শুক্রবার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম থাকে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের জন্য অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ থাকায় সংস্কারকাজ চলাকালীন ভয়েস কলসহ অন্যান্য ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা হবে না।
তথ্যপ্রযুক্তি ও আইআইজি সেবাদানকারী কম্পানি ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির গণমাধ্যমকে বলেন, ছুটির দিনে অফিস আদালত বন্ধ থাকায় এমনিতেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা এক তৃতীয়াংশে নেমে আসে। তাই এখনও তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া বেশিরভাগ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একাধিক বিকল্প ব্যবস্থা রাখে, তাই এক কেবলে সমস্যা হলে অন্য রুটে তারা সেবা দিতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। তারপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।