সোমবার (৩১ মে) রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকার চালান পৌঁছায়। আপাতত রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে রাজধানীর চারটি কেন্দ্র প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।
সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই প্রথম চালান। এই টিকা কোনো ভাবেই আলো ও তাপের সংস্পর্শে রাখা যাবে না। এর দুটো ডোজ দেওয়া হবে। প্রতি ডোজে শূন্য দশমিক ৩ এমএল সমপরিমাণ থাকবে, যা ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা হবে।
সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে যারা এই টিকার নিবন্ধন করবেন তাদের এ টিকা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন অর্থাৎ বাহুর উপরের মাংসপেশিতে প্রয়োগ করতে হবে। সঠিকভাবে টিকা দিতে শূন্য দশমিক ৩ এমএল এডি সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
যেহেতু ফাইজারের টিকা জমানো, জীবাণুমুক্ত, প্রিজারভেটিভ এবং এডজুভেন্ট মুক্ত, মাল্টি-ডোজ কন্সেট্রেট অর্থাৎ ঘনীভূত তাই মানবদেহে প্রয়োগের আগে অবশ্যই সংমিশ্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে এক ভায়ালের সঙ্গে ডাইলুয়েট মিশ্রণের পর ৬ ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে। সংমিশ্রণের জন্য দুই এমএলের সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে যাদের এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস (অ্যানাফাউল্যাক্সিস) আছে তাদের এই টিকা দেওয়া যাবে না। আর প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে যদি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না।
এছাড়া কোনো ব্যক্তির শরীরে জ্বর থাকলে অর্থাৎ ৩৮.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি তাপমাত্রা থাকলে টিকা দেওয়া যাবে না। এমনকি গ্রহীতার যদি কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ থাকলে সেরে না ওঠা পর্যন্ত টিকা দেওয়া যাবে না। এছাড়া অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি ব্যক্তিকেও এ টিকা দেওয়া যাবে না।