শুক্রবার (৪ জুন) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে হাসপাতালের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামকে গতকাল বিশেষ একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ ম্যাডাম যে কেবিনে ছিলেন, সেখানে তাঁর কোভিড-পরবর্তী কিছু প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। ম্যাডামের রক্তে কিছুটা সংক্রমণ হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ডাক্তারদের বিচক্ষণতা ও আন্তরিকতায় তাঁরা সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। যেহেতু ওখানে (সিসিইউ) সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি, আবারও হতে পারে, সে কারণে তাঁকে এখন বিশেষ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ৬ দিন পর ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাঁকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। গত ১৪ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ৯ মে করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় ছিলেন। তাঁর সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ ছিল সীমিত।