রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) করোনভাইরাসের ৫০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করেছে। সেখান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পরীক্ষায় ৫০টি নমুনার ৪০টি (৮০ শতাংশ) ভারতীয় ধরণ। ৮টি (১৬ শতাংশ) বিটা ভ্যারিয়েন্ট বা সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, একটি সার্কুলেটিং ও ১ টি আন-আইডিন্টিফাউড (অজানা) ভ্যারিয়েন্ট।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশে যাননি এবং বিদেশ থেকে আগত রোগীর সংষ্পর্শে আসার কোনো তথ্যও পাওয়া যায়না। এ কারণে গবেষণায় বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ বিদ্যমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৫টি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি নমুনার সবগুলোর মধ্যেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। খুলনা থেকে সংগ্রহ করা তিনটি নমুনাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এবং ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা চারটি নমুনার মধ্যে দুটি ছিল ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। এ ছাড়া দিনাজপুর, গাইবান্ধা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ ও পিরোজপুর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া গেছে।
গত বছরের অক্টোবরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। এটি করোনাভাইরাসের আগের স্ট্রেইনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভেরিয়েন্টটিকে ‘উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট’ বলে অভিহিত করেছে।