শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তাদের পর্যালোচনা তুলে ধরে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটটি অনুমিতির জায়গা থেকে তৈরি করা হয়েছে। এখানে রাজস্ব আদায়ে কাঠামোগত দুর্বলতা আছে। করোনাকালে সামাজিক নিরাপত্তায় কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ বাড়েনি। বরং যেটা বেড়েছে সেটা সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনের কারণে। একই সঙ্গে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও বরাদ্দ বাড়েনি। করোনাকালে নতুন করে যারা কর্মহীন হয়েছেন বা হচ্ছেন, বাজেটে তাদের বিষয়ে কোনো বরাদ্দের উল্লেখ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে আয়বৈষম্য, ভোগবৈষম্য, সংকটবৈষম্য দূর করার দর্শন আছে। কিন্তু এই বৈষম্য দূর করার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি এতে।’
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। উল্টো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি খাতকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাতে করে তারা কি বিনিয়োগে আসবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা উচিত ছিল সরকারের। কারণ সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিলে তারা সেটা খরচ করতেন, এতে অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসত। ‘