শুক্রবার (৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের প্রথম জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
টিপু মুনশি বলেন, চা শিল্পের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আমরা চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধু অল্প কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে এটিকে এগিয়ে নিয়েছেন অনেক দূরে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি চা ভবন, রিসার্চ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলছেন। তাই এটা শুধু একটি দিবস না। এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে চা শিল্পের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতার পর তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই চা শিল্প, চা বাগান নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে গেছেন। বিশেষ করে চা শ্রমিকদের শ্রেণির কথা ভেবেছেন, উদ্যোগ নিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার চেষ্টায় আগের তুলনায় দেশের অর্থনীতির চিত্র অনেক বদলে গেছে। মানুষের জীবন যাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন হতে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের উন্নয়নে তিনি অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। চা শিল্পে তার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখ স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকা বিবেচনায় গত বছরের ২০ জুলাই মন্ত্রীসভার বৈঠকে ৪ জুনকে জাতীয় ‘চা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।