জিএম কাদের বলেন, ‘এগুলো বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এসব যারা তুলে ধরছেন তারাও নানান রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিছুদিন আগেই একজন সাংবাদিককে হেনস্তা করা হয়েছে। তার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। তার গলা টিপে ধরা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এখন অনেকে বলছে তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দেয়া হতে পারে। কারণ কী?’
সোমবার (৭ জুন) সকালে জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই দেশে আইনের শাসন থাকুক। আমরা চাই, যে অপরাধ করে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা গণমাধ্যমে কাজ করে তাদের কিছু দায়িত্ব থাকে। প্রত্যেক দেশের গণমাধ্যমে ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম বলে একটা কথা আছে। যারা দেশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাদেরকে সেই সুযোগ দেয়া সমাজের দায়িত্ব। তাহলে আমরা অনেক দুর্নীতি থেকে রক্ষা পাব।’
এ সময় বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘আমরা ব্যবসাবান্ধব বাজেট চাই। কিন্তু একই সাথে গরিব ও সাধারণ মানুষের কষ্ট কমাতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। আমরা করোনা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী জিডিপির কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দেয়া উচিত। আমাদের আশপাশের দেশ এভাবেই বরাদ্দ দিচ্ছে। আর করোনা মহামারির কারণে এ খাতে আমাদের বরাদ্দ আরও বেশি করে বাড়ানো উচিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণ হলে আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। কাজেই স্বাস্থ্যের দিকে আমাদের খেয়াল করতে হবে এবং সেদিকে আমাদের কোনভাবেই উদাসীন হওয়া উচিত নয়।’
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। কোনো শিক্ষা নেই। এভাবে যদি আমাদের আরো পাঁচ বছর চলতে হয়, তাহলে কি আমরা সামনে মূর্খ, জ্ঞানহীন একটি প্রজন্ম পাব? এরাই কি আমাদের দেশ পরিচালনা করবে? দেশের নাগরিক হবে? এই পরিস্থিতির দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি?’