অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে রাজ্যে রাজ্যে জারি করা বিধিনিষেধের প্রভাব পড়ল দেশের অর্থিনীতিতে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে কেন্দ্র ১ লক্ষ ২ হাজার ৭০৯ কোটির জিএসটি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে কেন্দ্রের গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স আদায়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা।
করোনা মহামারির প্রথম ঢেউ ধাক্কায় থমকে গিয়েছিল ভারতের অর্থ ব্যবস্থা। তলানিতে ঠেকেছিল কেন্দ্রের পণ্য ও পরিষেবা কর আদায়ের পরিমাণ। তবে লকডাউন শিথিল হতেই আবার গতি আসে দেশীয় অর্থনীতিতে। তারপর থেকে টানা ৮ মাস কেন্দ্রের জিএসটি আদায়ের পরিমান ১ লক্ষের উপরেই আছে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালের মে মাসের তুলনায় ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২১ এর মে মাসে। ২০২০ সালের মে মাসে জিএসটি সংগ্রহ হয়েছিল ৬২,০০৯ কোটি টাকা। তবে গত এপ্রিলের থেকে কিছুটা কমল মে মাসের জিএসটি সংগ্রহের পরিমান।
গত এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল গুডস এন্ড সার্ভিস ট্যাক্স বাবদ আদায় হয়েছিল ১৭ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। স্টেট গুডস এন্ড সার্ভিস ট্যাক্স বাবদ সংগৃহিত হয়েছিল ২২ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে কিছু রাজ্যে লকডাউন জারি হয়। তারফলে মে মাসে জিএসটির পরিমান কমে যায়। সেন্ট্রাল গুডস এন্ড সার্ভিস ট্যাক্স বাবদ আদায় হয় ১৫ হাজার ১৪কোটি টাকা। স্টেট গুডস এন্ড সার্ভিস ট্যাক্স বাবদ সংগৃহিত হয়েছিল ১১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি আদায়ের পরিমাণ ৫৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা।