কিন্তু ডিএসই (মেম্বার'স মার্জিন) রেগুলেশনস-২০০০ অনুযায়ী এ আইনে ফ্রি লিমিট অতিক্রম করলে লেনদেন বন্ধ রাখার কোন বিধান না থাকলেও ডিএসই সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউজের লেনদেন সাসপেন্ড রাখে। অর্থাৎ সমপরিমান অর্থ ১০ মিনিটের মধ্যে জমা করা হলেও এক ঘন্টা লেনদেন বন্ধ রাখা হয় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউজের।
বিএসইসি সূত্র জানায়, সম্প্রতি ব্রোকার হাউজগুলোর অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকে ফ্রি লিমিট অতিক্রম করলে এক ঘন্টার মধ্যে সমপরিমান অর্থ অথবা সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে জামানত রাখলেই হবে, এ সময়ে লেনদেন সাসপেন্ড থাকবে না। তবে এক ঘন্টার মধ্যে জামানত না রাখলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউজের লেনদেন সাসপেন্ড থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, ফ্রি লিমিটের বিষয়ে স্পষ্টিকরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্সচেঞ্জগুলোর সফটওয়্যারে আপডেট না থাকায় এ বিষয়ে প্র্যাকটিস ছিল না। তাই এ বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য এক্সচেঞ্জগুলোকে
স্পষ্টিকরন চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
ব্রোকার হাউজগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান অর্থসংবাদকে বলেন, আইনে বলা আছে ফ্রি লিমিট অতিক্রম করলে এক ঘন্টার মধ্যে সমপরিমান অর্থ জামানত রাখার কথা, কিন্তু কেনা বেচা বন্ধ থাকবে কেন? এমনি ই তো শেয়ার কেনা বেচার অর্থ এক্সচেঞ্জগুলো থেকে ব্রোকার হাউজগুলো একদিন পড়ে পায়। তাহলে সিকিউরিটি নিয়ে তো কোন সমস্যা নেই। বর্তমানে বাজারে লেনদেনের পরিমান বাড়ছে, তাই অনেক হাউজগুলোতেই ফ্রি লিমিট অতিক্রম হচ্ছে।