এ বিষয় ফেসবুক জানিয়েছে, ‘যেকোনো সমস্যার জন্য ইমেলের মাধ্যমে স্পুর্থি প্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।' অপরদিকে ভারতীয় সরকার বলছে, গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ দেওয়ার ফলে ফেসবুকের অপব্যবহার ঠেকানো সম্ভব হবে।
ভারতীয় সরকারের নতুন নিয়মে সব সোশ্যাল কোম্পানিকে নিজেদের অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে গ্রিভ্যান্স অফিসারের নাম জানাতে হবে। তবে শর্ত হল, এই গ্রিভ্যান্স অফিসারকে ভারতীয় হতে হবে এবং দেশের ভাষাও বুঝতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে কনট্যাক্ট ডিটেলসও। এছাড়াও কী ভাবে অভিযোগ জানানো যাবে তা পরিষ্কার লিখতে হবে ওয়েবসাইটে।
গ্রিভ্যান্স অফিসারের কাজ কী?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভারতে নিয়োজিত ফেসবুকের এই গ্রিভ্যান্স অফিসারের কাজ কী? তার কাজ হলো ফেসবুক সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে
ভারতীয় সরকারের কেন্দ্রিয় সরকারকে সহযোগিতা করা। পাশাপাশি আবার যেকোনো অভিযোগও তার কাছেই জানানো যাবে।
অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রিভেন্স অফিসারকে তার প্রাপ্তি স্বীকার করতে হবে। এছাড়াও নতুন নিয়মে যেকোনো ফ্ল্যাগড কনটেন্টকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পর্নোগ্রাফি হিসেবে কোন পোস্টকে চিহ্নিত করা হলে, সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ম না মানলে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট হওয়া সব পোস্টের দায়িত্ব সেই কোম্পানিকেই নিতে হবে। কোনও অভিযোগ জমা পড়লে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।