শনিবার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল সার্কিট হাউজে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করলেই করোনা সংক্রমন বাড়ে তা সঠিক নয়। রাজশাহীতে এখন নির্বাচন নেই অথচ করোনা সংক্রমন বেড়েছে। এসময় তিনি দাবী করেন বলেন, করোনার চেয়েও নির্বাচনের গুরুত্ব বেশি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, করোনার কারনে এর আগে একদফা নির্বাচন পেছানো হলেও সংক্রামন তুলনামূলক কম হওয়ায় এলাকাগুলোতে বৃষ্টির মধ্যে নির্বাচন চালিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন যেন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন হয় সে ব্যাপারে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি। প্রার্থীদের আচরন বিধি মেনে চলার জন্য আহবান জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনারের কাছেই থাকা উচিত। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশের বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিকের দুর্নীতি অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন অভিযোগকারীদের সরকারি কেনাকাটা আইনের বিষয়ে ধানা ধারনা নেই। তাদের সবগুলো অভিযোগ মিথ্যা ও অসত্য। তাদের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রনোদিত।
সভায় স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ আর অভ্যন্তরীন দলাদলিতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরিশালে বিশৃংখলার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি সামলাতে প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার এর সভাপতিত্বে সভায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনার সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন প্রমুখ।