বৃহস্পতিবার বিকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের হাতে সরঞ্জামগুলো তুলে দেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
অধ্যাপক আজাদ জানান, চীন থেকে দ্বিতীয় দফায় আসা এই মেডিকেল সরঞ্জামের মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, চিকিৎসক-নার্সদের জন্য ১০ হাজার পিপিই, ১৫ হাজার এন৯৫ মাস্ক এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে কভিড-১৯ রোগী পাওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৫০০ টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীন। ওই সময়ে ‘বন্ধুত্বমূলক সহায়তা’ হিসাবে চীনাদের জন্য ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার সু কাভার এবং ৮ হাজার গাউন পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসাবে আমরা এ ধরনের উপহার বিনিময় করেছি। বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম কার্গো বিমানে এসেছে, আমরা সেগুলো গ্রহণ করলাম।”
তিনি বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর অনুরোধ আমরা করেছিলাম। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, মান্যবর রাষ্ট্রদূত চীন সরকারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখনো ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। চীন এখন ভালো অবস্থায় আছে। বাংলাদেশও যুদ্ধ করছে। আমি আশা করি, চীন ও অন্য দেশের সহায়তায় বাংলাদেশও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হবে। সুতরাং আপনারা আত্মবিশ্বাসী হোন।”
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরঞ্জাম পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার এখান থেকে চীনের জনগণের জন্য অনেক সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল কিছু দিন আগে। তার প্রতিদান হিসাবে আমরা এই সহায়তা করছি।”
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীন থেকে বিশেষজ্ঞ দল আগমনের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, “আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। বেইজিং থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। কিন্তু ভাইরাসটি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করেছে। অনেক দেশে পরিস্থিতি খুব মারাত্মক, বাংলাদেশ এখনও সেই তুলনায় আক্রান্ত নয়। ওই আক্রান্ত দেশের দিকে আমরা এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।”