বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১০৯তম অধিবেশনের প্ল্যানারি সেশনে ভার্চুয়ালি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রমমান উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার বিষয়ে আইএলও এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনের সাথে পরামর্শ করে একটি সময়োপযোগী এবং যথোপোযুক্ত রোডম্যাপ তৈরি করছে। শ্রম অভিযোগ এবং শিল্প বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আরো চারটি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত বছর তিনটি নতুন শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় করোনা মহামারী মোকাবেলা করে দেশের জনগণের জীবনমান বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা নির্দেশনাসহ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবিলা এবং অর্থনীতি পূণরুদ্ধার প্যাকেজের আওতায় ১৫.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার। এছাড়া এবছর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ১২.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেন। যা জিডিপির ৪.২১ শতাংশ। করোনা মহামারী থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিশীল এবং টেকসই পূণরুদ্ধারে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শ্রম মন্ত্রণালয় সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যগণ আইএলও এর সহযোগিতায় তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করেছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে এ অধিদপ্তরের চিকিৎসকগণের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলা তীব্রভাবে নিন্দা জানান। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ত্ব এবং টেকসই ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সমর্থন পূণব্যক্ত করেন।