বুধবার (১৬ জুন, ২০২১) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আশার আলো- বীমা দাবি পরিশোধের প্রয়াস শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে ৬৩ বীমা গ্রাহকের মৃত্যুদাবি বাবদ ২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বীমা বেশ অবদান রাখতে পারে। স্বাস্থ্য বীমায় আরো বেশি জোর দিতে হবে। মধ্যবিত্ত্বরা যখন জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়ে তখন তাদের সঞ্চিত আয় এমনকি জমি-জমাও বিক্রি করতে হয়। যা দেশের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটে।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহনকে বীমার আওয়তায় আনতে হবে। গাড়ি দুর্ঘটনায় অনেকে রাস্তায় ঝগড়ায় লিপ্ত হয় যা উন্নত দেশে দেখা যায় না। কারন ওই সব দেশে সব পরিবহন বীমার আওতায় রয়েছে। যে ক্ষতি তা বীমা কোম্পানি পরিশোধ করবে। আমাদেরও এমন হওয়া উচিত। এমনিভাবে ফায়ার ইন্স্যুরেন্সও অনেক জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা বীমা এমনভাবে চালু করা দরকার যাতে একজন শিক্ষার্থী বীমার সুবিধা নিয়ে পড়া লেখা চালিয়ে নিতে পারেন এবং পরবর্তীতে কর্মজীবনে তা পরিশোধ করতে পারেন।
বীমা দাবি পরিশোধে যারা দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় নেয় তাদের শাস্তির আওতায় আনার পরামর্শ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের উন্নয়ন ও বীমার প্রতি মানুষের আস্থা অর্জনের স্বার্থেই আইডিআরএ’কে যেকোন পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি হলো দেশের কত শতাংশ মানুষ বীমার আওতায় এসেছে। বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ভারতেকে মানব উন্নয়ন ও গড় মাথা পিছু আয়ে অনেক আগেই অতিক্রম করেছে। কিন্তু বীমায় আমরা এখনও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করেছেন মূলত মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ ও সংযোগ স্থাপন করার উদ্দেশ্যে। আমাদেরও উচিত বীমাকে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সেতু হিসেবে ব্যবহার করা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি বলেন, আমরা বীমা দাবি পরিশোধ জোর দিয়েছি। এ জন্য বর্তমানে ন্যাশনাল লাইফের কোন বীমা দাবি পেন্ডিং নেই। তিনি বলেন, এনএলআইন একটি কমপ্লায়েন্স কোম্পানি।
বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরতে গিয়ে মোরশেদ আলম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু এক সময় আলফা ইন্স্যুরেন্সে চাকরি করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও বীমা খাতের জন্য কাজ করছেন। দেশের উন্নয়নে বীমা খাত আরো বেশি ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।