টানা তিন ম্যাচে ড্র করার পরে অবশেষে জয়ের স্বাদ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ী ম্যাচের নায়ক খোদ মেসি। কোপার এই ম্যাচেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন তিনি। সেই সুফলটাও পেয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চিলির পর এই এখানেও ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে ক্ষুদে জাদুকরের হাতে।
শনিবার সকালে কোপায় ইতিহাস গড়লেন মেসি। এই টুর্নামেন্টে এখন সর্বোচ্চ ১৪ অ্যাসেস্টি তার। সুয়ারেজদের দলের বিপক্ষে ১৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মেসির মাপা ক্রসে মাথা ঠেকিয়ে গোল করে ব্যবধান গড়ে দেন গিদো রদরিগেজ। সেই গোলেই টানা তিন ম্যাচ ড্র করার পরে জয়ের মুখ দেখল আলবিসেলেস্তেরা।
মেসি আর্জেন্টিনার জার্সিতে চার বিশ্বকাপ (২০০৬, ২০১০, ২০১৪, ২০১৮), ছয়টি কোপা আমেরিকায় (২০০৭, ২০১১, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১) খেলেছেন। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে অ্যাসিস্টের মাধ্যমে গোল করার পাশাপাশি তার খেলা ১০টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে গোলে সহায়তা করারও এক অনন্য নজিরের দেখা মিলল। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই কমপক্ষে একবার সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর ক্ষেত্রে তার ভূমিকা থাকল।
২০১৬ সালের কোপায় সতীর্থদের দিয়ে চারটি গোল করিয়েছিলেন মেসি। ২০১১ ও ২০১৫ কোপার আসরে তিনটি করে গোল করিয়েছেন। চলতি কোপায় নিজেদের দুই ম্যাচে একবার গোল করিয়েছেন কিং লিও। দুই ম্যাচে একটি গোল সহায়তার সঙ্গে চিলির বিপক্ষে একটি গোলও করেছেন এই মহাতারকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ২০১৬ সালের কোপায়, যেবার সতীর্থদের দিয়ে চারটি গোল করিয়েছিলেন মেসি। ২০১১ আর ২০১৫ কোপায় গোল করিয়েছেন তিনবার। এবার দুই ম্যাচেই একবার গোল করানো হয়ে গেছে তার। শনিবার অ্যাসিস্ট দিয়ে কোপার ইতিহাসের সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টদাতা বনে গেলেন মেসি। ১৩টি অ্যাসিস্ট তার।
এবার কোপায় দুই ম্যাচ খেলে একটি গোল সহায়তার পাশাপাশি নিজেও চিলির বিপক্ষে একটি গোল করেছেন। সফল ড্রিবলের তালিকাতেও তার নাম শীর্ষে। ১২টি সফল ড্রিবল করা মেসির আগে কেউ নেই। কিন্তু এসব ব্যক্তিগত অর্জন যে এই যাদুকরকে খুশি করতে পারছে না। তার চাই শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে একটা ট্রফি যে বড্ড প্রয়োজন এই কিংবদন্তির!