রোববার (২০ জুন) করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমএনসিএইচ) ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিসিল্ড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে এ টিকাদান কর্মসূচির প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চলে। গত ২৫ মে থেকে চীনের সিনোফার্মের টিকাদান কর্মসূচি চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার বায়ো-এনটেকের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ৩০ মে দেশে এসেছে।’
আগামীকাল থেকে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি টেম্পারেচার সেনসিটিভ টিকা। এটাকে আল্ট্রা কোর চেইন মেইনটেইন করে সংরক্ষণ করতে হয়। এ টিকা দেয়ার জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঢাকার এই তিনটি হাসপাতলে আগে টিকা নেয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছিলেন তারাই শুধু টিকা পাবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের টিকা দেয়া হবে। যারা টিকা গ্রহণ করবেন তাদের সাতদিন অবজারভেশনে রেখে পরবর্তীতে সারাদেশে এ টিকা দেয়া হবে।’
গত ২৭ মে দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকা অনুমোদন পায়। এর আগে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের তৈরি টিকার অনুমোদন দেয় সরকার।