সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, এই ২৭তম স্প্যানটি বসবে ২৭ ও ২৮ নম্বর পিয়ারের ওপর। আর এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে ৪ হাজার ৫০ মিটার।
এ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বলেন, ‘আগামী মাসের মাঝামাঝিতে আরও দুটি স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে। এর আগে মূল সেতুর ২৬টি স্প্যান বসেছে। অর্থাৎ সেতুর প্রায় চার কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। কাল আরেকটি বসানো হলে ২৭টি হবে। ৪১টি স্প্যান জোড়া দেওয়া সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় এখন ৩০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছেন। তারা প্রকল্পের ভেতরেই থাকেন। বাকি ৭০ শতাংশ শ্রমিক বিশেষ করে বাংলাদেশীরা, করোনা আতঙ্কে ছুটি নিয়ে চলে গেছেন।
যারা প্রকল্প এলাকায় আছেন, তারা এখন স্প্যানে রং করার কাজ করছেন। সেতুতে বসানোর জন্য পাঁচটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে দুটিতে রং করার কাজ চলছে বলে জানায় সূত্র।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের মোট অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৮৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী বছরের জুনে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। এ জন্য স্টিলের কাঠামোর ওপরে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭০০ মিটার স্ল্যাব বসানো হয়েছে। স্ল্যাব বসানোর পর পিচ ঢালাইসহ চূড়ান্ত কাজ করা হবে। স্টিলের কাঠামোর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। সে জন্য রেললাইন বসানোর কাজ চলমান আছে।