স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ জুন) দেশটির তিগ্রের একটি ব্যস্ততম বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দেশটির সেনাবাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। নিরস্ত্র মানুষের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনী বিমান হামলার দায় স্বীকার করলেও তাদের দাবি, বেসামরিক মানুষ নয় বরং সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় চিকিৎসকদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলে বেশকিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে তিগ্রের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যদিও তা অস্বীকার করেছে ইথিওপিয়ার সরকার।
বিমান হামলার পর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিতে ওই অঞ্চল ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এমনকি সংবাদমাধ্যম কর্মীদেরও ওই অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি-রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ব্যস্ততম বাজারে বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত বছরের নভেম্বরে তিগ্রের তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল তিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট টিপিএলএফকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সহযোগিতায় হামলা চালায় ইথিওপিয়া সরকার। ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের নেতৃত্বে সরকারি বাহিনী অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিলেও তাদের প্রতিহত করতে অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট গড়তে থাকে টিপিএলএফ।