পাঁচ বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত পুলিশের দুই কর্মকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। হত্যা করে ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে। সেই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডে অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। হোলি আর্টিজানে হামলার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। এ উপলক্ষে জঙ্গি হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে শফিকুল ইসলাম বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই জঙ্গিরা নেটভিত্তিক প্রচারণা চালাচ্ছে। ভার্চ্যুয়াল ওয়ার্ল্ডে তারা অনেক তৎপর। তবে পুলিশ জঙ্গিদের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি করছে। আপাতত দেশে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে দেশে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এ কারণে গতকাল বুধবারই কয়েকটি দেশের কূটনীতিকেরা হোলি আর্টিজানে গিয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আর আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হোলি আর্টিজানে গিয়ে দুজন জাপানি নাগরিক ফুল দিয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
হোলি আর্টিজান বেকারির মালিক সাদাত মেহেদি বলেন, আজ থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এ জন্য গতকাল যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ভারতসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা এখানে এসেছিলেন। তাঁরা ফুল দিয়ে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। লকডাউনের কারণে আজ এখানে কোনো কর্মসূচি নেই।