আর চেকদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন প্যাট্রিক শিক।
শনিবার আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শেষ আটের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে শুরুটা দারুণ করে ডেনমার্ক। ম্যাচের মাত্র পঞ্চম মিনিটে চেকরা কিছু বুঝে ওঠার আগে গোল দিয়ে বসে দলটি। বিতর্কিত এক কর্নার থেকে জেন স্টারগের লারসেন শট নিলে আনমার্ক অবস্থায় থাকা টমাস ডেলানি হেডের মাধ্যমে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন।
১৬তম মিনিটে নিজের জোড়া গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ডেলানি। লারসেনের ক্রস থেকে এবারও আনমার্ক হয়ে ছিলেন এই মিডফিল্ডার। তিনি গোলের জন্য শট করেছিলেন। তবে বল বাউন্স করে জালের থেকে বেশ বাইরে দিয়ে চলে যায়।
অবশ্য ২২তম মিনিটে পিটার স্মাইকেলের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল ডেনমার্ক। তার পাস চলে যায় প্রতিপক্ষের জোসেফ মাসোপুটসের কাছে। সেখান থেকে চেক এই ফুটবলার ড্রিফট করে হোলেসের কাছে দূরের পোস্টে পাঠান। তবে হোলেসের শট স্মাইকেলই আটকে দিয়ে দলকে উদ্ধার করেন।
প্রথমার্ধের শেষদিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডেনিশরা। জোয়াকিম মায়েহলের ক্রস থেকে ক্যাসপার ডলবার্গ বল পেলে দূরের পোস্ট থেকে গোল করতে কোনো ভুল করেননি এই নিস স্ট্রাইকার।
বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় চেক। এরই ধারাবাহিকতায় খেলার ৪৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় দলটি। ভ্লাদিমির কোউফালের ক্রস থেকে দারুণ এক ভল্যি করে গোলটি আদায় করে নেন প্যাট্রিক শিক।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ডেনমার্ক। মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের কাছ থেকে ওয়াস বল পেয়ে ইউসুফ পৌলসেনের দিকে কাট করেন। পৌলসেন বক্সের বাইর থেকে শট নিলেও চেক গোলরক্ষক টমাস ভাকলিকের সুবাদে রক্ষা পায় দলটি। তিন মিনিট পরে আরও একটি সুযোগ হারায় ডেনিশরা। মায়েহলের ডিফেন্স চেরা পাস পৌলসেন পান। তবে এবারও ঠেকিয়ে চেকদের ত্রাতা হন ভাকলিক।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ডেনমার্ক।
আসরের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও ইউক্রেনের মধ্যকার ম্যাচে জয়ীদের বিপক্ষে শেষ চারে মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক।