এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাতজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের নতুন করোনা ইউনিটে প্রথম দিনে ২৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার গণমাধ্যমে জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের বেগম (৫০), খানজাহান আলী রোডের শেখ ওহিদুজ্জামান (৬৮), দোলখোলা এলাকার আনোয়ারা (৬২), সদরের সরদার হায়বাদ আলী (৫৫), বাগেরহাটের ফুনিয়াবাই এলাকার জাহাঙ্গীর (৫২) এবং বাগেরহাটের ডাকবাংলো এলাকার ইলিয়াস ফকির (৬০)। এ ছাড়া একজন উপসর্গে মারা গেছেন।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৭ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১০২ জন, ইয়ালোজোনে ৫৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ জন।
গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন- নগরীর বানিয়াখামার এলাকার আফতাব হোসেন (৭৬), ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের জাকির হোসেন (৫০), গোলনা এলাকার সালেহা বেগম (৬৭), বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা এলাকার কাজী আহাদ (২৬), নড়াইল সদরের দর্জিপুরের হালিমা (৫৫) এবং সদরের গোবরা এলাকার মিঠু বিশ্বাস (৮১)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১১৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন আটজন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন। পিসিআর ল্যাবে ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- নগরীর টুটপাড়া এলাকার জহুরুল হক (৬৫) ও ডুমুরিয়ার জাহানারা বেগম (৬০)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হওয়া ২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী সাতজন রয়েছে। প্রথম দিনে কোনো রোগী মারা যায়নি।