মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রাহকদের টাকা যাতে কোনোভাবেই কোম্পানির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তোলন না করা যায়, সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।
এর আগে, গত জুলাই মাসে বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজ ও এর পরিচালকদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ হওয়া দশটি প্রতিষ্ঠান হলো- বানকো সিকিউরিটিজ, বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সুব্রা সিস্টেমস, সুব্রা ফ্যাশনস, বানকো পাওয়ার, বানকো এনার্জি জেনারেশন, বানকো স্মার্ট সল্যুশন, ক্লাসিক ফুড ল্যাব, অ্যামুলেট ফার্মাসিউটিক্যালস ও সামিট প্রপার্টিজ লিমিটেড।
এর আগে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২৯ জুন সকালে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে আটক করে। সমঝোতার কথা বলে তিনি দেশ ত্যাগ করছিলেন।
পুঁজিবাজার থেকে ৬৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বানকো সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত ও পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বানকো সিকিউরিটিজের পরিচালক শফিউল আজম, ওয়ালিউল হাসান চৌধুরী, নুরুল ঈশান সাদাত এবং এ মুনিম চৌধুরী। আসামিরা অসৎ উদ্দেশে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।