এর আগে, গত ২১ জুন শেখ ইউসুফ হারুনকে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বেজা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
যোগদান করে প্রথম কর্মদিবসে নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশ এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ কঠিন সময়েও বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে তুলনামূলক শক্তিশালী পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। এজন্য আধুনিক ও গতিশীল প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নিজেদের যুগোপযোগী করে তৈরির কোনো বিকল্প নেই। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো অর্থনীতির আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হবে।
এর আগে, শেখ ইউসুফ হারুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরবর্তীতে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ’ অনুবিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন শেখ ইউসুফ হারুন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে পদায়িত থেকে তিনি বেজা, বেপজা, এনজিও ব্যুরো, বিডা এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রমে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি দেশে ও বিদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে বিনিয়োগ আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিডা আইন এবং প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ আইন প্রণয়নেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন।