ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা ও মানবতাবাদী মনোভাবের কারণে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, মারা গেছেন ৫ জন। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ কমিউনিটি স্প্রেডের (সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া) শঙ্কা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে আছে।
ডা. এনাম বলেন, সাড়ে ৬ লাখ প্রবাসী ৩ মাসে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। সবারই প্রায় কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড পার হয়ে গেছে। তারাও এখন শঙ্কামুক্ত। আমি মনে করি, ঘোষিত ছুটির সময় ৪ এপ্রিলের পর বাংলাদেশ করোনামুক্ত হবে। আমরা আমাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, এ সময়ে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফেরিওয়ালা, চা বিক্রেতা, দিনমজুর কেউ যেন খাদ্যকষ্টে না ভোগেন। সবার পাশে যেন প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীরা খাদ্য নিয়ে হাজির হন। আমরা ২৪ মার্চ ২৪ হাজার ৭০০ টন চাল ও ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেই। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের মনিটরিং করি। ২৮ মার্চ তারা জানিয়েছেন, তাদের চাল ও টাকা প্রায় ফুরিয়ে আসছে। এটা জানার পর আমরা ২৮ মার্চ আবার সাড়ে ৬ হাজার টন চাল ও ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা নতুন করে বরাদ্দ দিয়েছি। রোববার রাত ৮টার পর থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মেইল এসেছে, এছাড়া আমাদের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন- মজুদ প্রায় ফুরিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা নতুন করে সব জেলায় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেব।
এনামুর রহমান বলেন, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন, অনেক জায়গায় পৌরসভা আছে, মহানগর আছে, তারা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সেভাবে সাহায্য পাচ্ছে না। আজকে আমরা একটা নির্দেশনা পাঠিয়ে দেব, বরাদ্দও বাড়িয়ে দেব। ছুটির দিনেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং অধীন সংস্থার মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।