মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ মু’মেন বলেন, করদাতাদের সুবিধার কথা বিবেচনায় করোনার মধ্যেও দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দফতরগুলো খোলা রয়েছে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল নিশ্চিত করতে এ বিশেষ ব্যবস্থা। আইন অনুযায়ী সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।
এর আগে, গত এপ্রিলে এনবিআরের এক আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক বিধিমালা ২০১৬ অনুসারে করদাতাদের মাস শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় সুদ ও জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা ও দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধকালে দেশের সব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দফতরগুলো খোলা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, করদাতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট দফতরে দাখিলপত্র পেশ করতে পারবেন। ওই সময়ে কর্মচারী-কর্মকর্তারা করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাখিলপত্র গ্রহণ ও রাজস্ব আদায় করবেন।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে নিয়মিত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে ৯৬ হাজার প্রতিষ্ঠান। আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার প্রতিষ্ঠান।