ওয়েবসাইটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামারিদের পশুর ছবি দেওয়া আছে। চাইলে ভিডিও কলেও ক্রেতা দেখে নিতে পারবেন পছন্দের কোরবানির পশু। বাছাই করা পশু কিনে অনলাইনে অর্থ পরিশোধ করলে পৌঁছে দেওয়া হবে ক্রেতার ঘরে। চাইলে কেনার পর পশু জবাই করে মাংস পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা আছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সরকারও অনলাইনে কোরবানির পশু কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে কোনো সময়ে প্রতারণার স্বীকার হবেন না। হাসিল দিতে হবে না। রাস্তাও নিরাপদ থাকবেন। করোনার কারণে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় না যাওয়াটাই উত্তম।
৬০ উদ্যোক্তা আর ২০০ জন খামারি আছেন ডিজিটাল হাটে। শুরুর দিকে খুব একটা সারা পায়নি। তবে সময় যত যাচ্ছে অনলাইন কেনাকাটার প্রতি ঝোঁকও বাড়ছে। সারাদেশে প্রায় এক হাজার ৮৪৩টি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনলাইন হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর বেশির ভাগ ফেসবুককেন্দ্রিক। প্রায় সাড়ে ১০ লাখ পশু অনলাইনে বেচাকেনার জন্য ছবি ও ভিডিও দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা ও প্রশিক্ষিত কর্মী দিয়ে জবাই করে মাংস সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৮৮ পশু বিক্রি হয়েছে। যার টাকার পরিমাণ ১ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে এবার কোরবানির পশু কেনাবেচা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, ক্রেতা যেন প্রতারণার শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ তাদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারিত না হয় সে বিষয়টার দিকে সরকারের নজরদারি থাকতে হবে।
সারাদেশে এবার ১ কোটি ২০ লাখ পশু দেশীয় বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে।