এসময় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য সাহায্য করা নয়, সরকারের ভুল না থাকলেও ভুল খোঁজার চেষ্টা করা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএনপি’র দেয়া জাতীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী লিখিতভাবে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজের কথা জানিয়েছেন, কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। বিএনপি সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আজ এই মহাদুর্যোগের সময় যখন সমস্ত পৃথিবী থমকে গেছে, তখন সরকার অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে ধৈর্যের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে পরিস্থিতি অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে। তার মানে এই নয় যে, সরকার স্বস্তির ঢেঁকুর তুলছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সারাদেশে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি বিত্তবানরাও এগিয়ে আসছেন এবং সাংবাদিকরা সেগুলো গণমাধ্যমে তুলে আনছেন। সবাই সাড়া দিয়েছে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এসময় মন্ত্রীর কাছে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পক্ষে কয়েক দফা দাবি সম্বলিত একটি পত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী পত্রটি গ্রহণ করেন ও বৈশ্বিক এ দুর্যোগ, যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত থাকেনি, এর মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করতে এবং কেউ যাতে জনমনে গুজব-বিভ্রান্তি-আতঙ্ক ছড়াতে না পারে সেজন্য গণমাধ্যম ও সরকার আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, সেবিষয়ে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে।