বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. অমল রায় বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা শহরের শাহীপাড়া কলেজ সড়কের স্থায়ী বাসিন্দা ভাষাসৈনিক ও সঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত ওয়ালিউর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন ভাষা সৈনিক সমেলা রহমান ও নাট্য অভিনেত্রী সাহানা সুমীর মা। সমেলা রহমান চার মেয়ে, তিনি ছেলে ও নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্র গণমাধ্যমে জানায়, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও ১৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছিলেন সমেলা রহমান। চলতি বছরের গত ৭ জুলাই র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে তার করোনা শনাক্ত হয়। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন এই ভাষাসৈনিক।
অবস্থার অবনতি হলে ৯ জুলাই তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়া হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে সেন্টার অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন নীলফামারীর ২৭ জন নারী-পুরুষ। যাদের নাম নীলফামারীর সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে খোদাই করা রয়েছে। এই নামের তালিকায় ২৭ জনের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন নারী। এদের মধ্যে শুধু একমাত্র বেঁচে ছিলেন সমেলা রহমান। তিনিও প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন।