শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হল।
এর আগে শুক্রবার সকালে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার বৈলতলী প্রাইমারি স্কুল এলাকায় পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের ছয় যাত্রী নিহত হন। এসময় ইজিবাইকে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে একমাত্র নূর মোহাম্মদকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তাকে প্রথমে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই পিকআপের চালক ওসমান গণিকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। ওসমান গণি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার রঘুনাথপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে।
নিহতরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার চাকশ্রী বাজার এলাকার মৃত আব্দুল ওহিদের ছেলে আব্দুল হাই (৫৫), ব্রি-চাকশ্রী এলাকার শেখ আলী আহম্মদের ছেলে শেখ নূর মোহাম্মদ (৬০), একই এলাকার মৃত শেখ দলিল উদ্দীনের ছেলে ইজিবাইক চালক শেখ রেজাউল (৩০), ফকিরহাট উপজেলার নলদা মৌভোগ এলাকার দিলিপ রাহার ছেলে উৎপল রাহা (৪২), একই এলাকার মৃত জগদিশ দত্তের ছেলে নয়ন দত্ত (২৭), ফকিরহাট উপজেলার পারনওয়াপাড়া এলাকার কালিপদ দের ছেলে গৌড়নন্দ দে (৫০) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার দক্ষিণখানপুর গ্রামের মন্তাষ শেখের ছেলে নজরুল শেখ (৫৫)।
রামপাল বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকির গণমাধ্যমে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নূর মোহাম্মদ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া আমার ইউনিয়নের আরও দুইজন এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এতজন মানুষের প্রাণহানি খুবই দুঃখজনক। স্বজনহারা প্রতিটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।