সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর প্রধান উপায়। তার মানে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকতে হবে। কিন্তু আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যেন মারাত্মক ভাইরাসটি আপনার সঙ্গে বাড়িতে না আসে। এ ক্ষেত্রে আপনি নিন্মোক্ত টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
• বাইরের সমস্ত কাজ যে কোনো একজন করুন। যত কম লোক বাড়ির বাইরে যাবেন ততই ভালো।
• যদি সম্ভব হয় বাড়ির বাইরেই জীবাণুনাশক রাখুন। বাড়িতে প্যাকেজজাত খাবার বা অন্যান্য পণ্য ঢুকানোর আগে তাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করুন।
• বাইরে অবস্থানকালে অন্যের থেকে কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কেনাকাটা করার সময় ঝুড়ির হাতলগুলো মুছে নিন। জীবাণুনাশক বা সাবানপানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন এবং হাত দিয়ে চোখ-মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
• যখন কোনো কিছু নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবেন, বাইরে থাকা জীবাণুনাশক বা সাবানপানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিন।
• আপনি যেসব স্থানে স্পর্শ করেন যেমন দরজার নব, সুইচ, কীবোর্ড, মাউস, মোবাইল ফোন, রিমোট ইত্যাদি ঘন ঘন জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে নিন।
• অনলাইনে শপিংয়ের ক্ষেত্রে ডেলিভারি ম্যানকে সুবিধামতো বাড়ির কোনো একটি স্থানে পণ্য ডেলিভারি দিতে বলুন। সম্ভব হলে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করুন। তাকে যদি আপনার দরজা পর্যন্ত আসতেই হয় তবে কমপক্ষে ছয় ফুট দূরত্ব রাখুন এবং যত দ্রুত সম্ভব লেনদেন সম্পন্ন করুন। কাজ শেষ হলে অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
• গরম পানি দিয়ে নিয়মিত কাপড় ও তোয়ালে ধুয়ে নিন। আপনি যদি ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে থাকেন তবে সেটি গরম পানিতে ধোয়ার সেটিং করে নিন। বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নোংরা লন্ড্রিতে কাপড় দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• এই সময়ে বাড়িতে অতিথি না আনাই ভালো। কিন্তু যদি আনতেই হয় তবে যতটা সম্ভব দূরত্ব রাখুন, উভয়েই ব্যবহার করবেন এমন স্থানগুলোতেও ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
• যদি বাসার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে মোবাইল ফোনে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন, তাকে আলাদা কক্ষে ও অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। তাকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন এবং বাথরুম বা অন্যান্য জিনিস যা যৌথ ব্যবহার করতে হয় তা থেকে বিরত থাকুন।
• আপনার পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলা করছেন, ঘুরছেন সেটি ঠিক আছে। আপনি বাইরের মানুষ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বাইরেও খেলতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে সুস্থ হয়ে না ওঠা পর্যন্ত অন্য কাউকে আপনার প্রাণীটির যত্ন নিতে বলুন। আর যদি আপনাকেই প্রাণীটির যত্ন নিতে হয় তবে ঘন ঘন জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে, গবেষকের নতুন আবিষ্কার বা পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ঠেকাতে তাদের সুপারিশ বা পরামর্শ পরিবর্তন হতে পারে। সুতরাং এসব বিষয়েও আপডেট থাকার চেষ্টা করুন।