আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপ্তি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী ‘রোড শো’ শুরু হয়েছে সোমবার (২৬ জুলাই)। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে এই রোড শো’র উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় নিরীক্ষকের ভূমিকা, নিরীক্ষা সংস্থাগুলো এবং ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলো সক্রিয়ভাবে নিরীক্ষণ করা হয়। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণে কোন ধরণের ঝুকি নেই। এখান থেকে ঋণ নিয়ে খুব সহযেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা সম্ভব। খুব অল্প সুদেই মার্জিন ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কমিশন পুঁজিবাজারে বন্ড যুক্ত করেছে। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে অর্থসংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এসবক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ডও বড় ধরণের ভূমিকা পালন করে। মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের উন্নয়নে বর্তমান কমিশন বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।বিএসইসি কর্পোরেট গভর্ননেন্স, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এবং ডিসক্লোজার রুলস নিয় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। তাই আমি আপনাদের সকলকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। এখানে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী সহ সকলেই খুব নিরাপদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক ফাইন্যান্সের ব্যাবস্থাপনার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে। সেক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ফাইন্যান্স প্রক্রিয়াগুলো খুব ভালো করে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার নতুন বিনিয়োগকারীদের প্রথম দিকে ট্যাক্সের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে থাকে। এর ফলে উদ্যোক্তার ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে লাভবান হতে পারে।
[caption id="attachment_77401" align="alignnone" width="776"] ছবি: অর্থসংবাদ[/caption]
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে খুব দ্রুত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির হার ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ দাড়িয়েছে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে। এই সময়ের বাংলাদেশের বাস্তব অর্থনীতি পাঁচ বার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইকোনোমিক গ্রোথের চেয়ে বাংলাদেশের জনসংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ২০১০/২০১১ সাল থেকে ২০১৯/২০২০ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল খাতের আগ্রগতি ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ। একই সময়ে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গেল ডিজিট সুদ হার কার্যকর করেছে। এছাড়া তিনি ডিপজিট রেট ও লেন্ডিং রেট এখন ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছেন। আমি আপনাদেরকে তুর্কি, পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়ার দিকে তাকাতে বলবো। তাহলে আপনারা দেখতে পারবেন, তাদের মুদ্রার পতন হয়েছে। তাদের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো যায়গায় অবস্থান করেছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে রফতানি, ম্যানুফ্যাকচার পণ্য এবং প্রবাসী আয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে । বাংলাদেশ একটি উন্নয়শীল ও রাজনৈতিক সংবেদনশীল দেশ।