এতে বলা হয়েছে, রাজধানী ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরের কার্গো গুদামঘরটি করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেখানে করোনা রোগীদের জন্য শয্যা রয়েছে ১ হাজার ৮০০টি।
হাসপাতালের পরিচালক এবং থাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রিনথং নান্না রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি একটি লেভেল ওয়ান প্লাস ফিল্ড হাসপাতাল। প্রচুর রোগী এখানে ভর্তি হতে পারবেন এবং সেসব রোগীকে ভর্তি করা হবে, যারা করোনার মৃদু বা মাঝারি উপসর্গ বহন করছেন।’
তিনি বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য পৃথক একটি ইউনিট করা হচ্ছে, সেটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাজ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই হাসপাতালে ভর্তি কোনো রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো থাইল্যান্ডেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬১ জন এবং মারা গেছেন মোট ৪ হাজার ৩৯৭ জন।
এর মধ্যে বুধবার (২৮ জুলাই) দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৩৩ জন এবং মারা গেছেন ১৩৩ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব দিনে থাইল্যান্ডে বিপুলসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে বুধবার অন্যতম।
সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশটির ৭৬টি প্রদেশের ১৩টিতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে থাই সরকার। কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
চলতি বছর থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালঙকর্ন ৬৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছেন। রিনথং নান্না বলেছেন, রাজার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নতুন এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘তাই রম প্রবারমি’ যার বাংলা অর্থ ‘রাজকীয় গৌরব।’
রয়টার্সকে তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য যে ইউনিটটি করা হচ্ছে— সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিতাক রাচান’; যার বাংলা অর্থ ‘রাজকীয় সুরক্ষা।’
সূত্র : রয়টার্স