এক মাসের লম্বা সফরে গেল ২৯ জুন আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ২৭ জুলাই। পরে সিরিজের সূচির পরিবর্তন আসে।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সবারই ফেরার টিকিট অনেক আগে থেকেই ২৯ জুলাই কাটা ছিল। তাই রোববার সিরিজ শেষ হলেও বাড়তি ৩ দিন জিম্বাবুয়েতেই থাকতে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে সরাসরি টিম হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকবে পুরো দল। তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি মিশনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩ আগস্ট। পরের ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে যথাক্রমে ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। খেলা দিবারাত্রি হবে, তবে ঠিক কয়টায় ম্যাচ শুরু হবে তা এখনো ঠিক করেনি বিসিবি।
বাধ্যতামূলক ১০ দিনের বায়োবাবলের শর্ত পূরণ করতে না পারায় সিরিজে খেলতে পারবেন না মুশফিকুর রহিম। পারিবারিক কারণে নেই লিটন দাস।
এই সিরিজে বাংলাদেশে আসছেন না স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্স ও অ্যারন ফিঞ্চের মতো তারকারা। ইনজুরির কারণে ম্যাক ডরম্যাটকে নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।
এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। গেল বছর দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে শেষ পর্যন্ত সিরিজটি বাতিল হয়।
এদিকে, হোটেল-ভেন্যু থেকে শুরু করে অনুশীলন মাঠ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া শর্ত মেনে ইতোমধ্যেই সবকিছু প্রস্তুত রেখেছে ক্রিকেট বোর্ড। ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি আরও জানান, কোনো ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হলেও, বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বাতিল হবে না। কারণ বায়োবাবলে থাকাকালীন কোনো ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলেও, ওই ক্রিকেটারকে কোন প্রক্রিয়ায় আইসোলেশনে রাখা হবে তা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বিসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মাঝে।
৩ দিনের কোয়ারেন্টাইনের পর আগামী রোববার (১ আগস্ট) মাঠের অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।