বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাতে ঢাকায় বৃষ্টি ও মেঘ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একটানা বৃষ্টি না হলেও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারী ৮৯ মি.মি. এর উপরে বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রার তথ্যে বলা হয়েছে, সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায় ২৫২ মি.মি.। এছাড়া ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মি.মি.। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে কুতুবদিয়ায় ১১৪ মি.মি., টেকনাফে ৮৪ মি.মি., সাতক্ষীরায় ১৩৬ মি.মি.।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় (২৯ জুলাই) বাংলাদেশের খুলনা সাতক্ষীরা অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।