আজ (বৃহস্পতিবার) নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেডের বীরগঞ্জ, বিরাটনগর ও ভৈরনহাজাওয়া প্রাদেশিক কার্যালয়ে জিটুজিভিত্তিতে ক্রয় করা এসব সার পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন কেএসসিএল বীরগঞ্জ শাখার প্রধান গোরক্ষনাথ কেসি।
কোভিড মহামারি ও এর প্রভাবের কারণে সার আমদানি প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হয়েছে জানিয়ে কেএসসিএল গোরক্ষনাথ বলেন, বাংলাদেশ থেকে সারের অতিরিক্ত চালানের আসায় কৃষকদের এবারের মৌসুমে আর সারের ঘাটতির মুখোমুখি হতে হবে না।
মূলত চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হয়ে তৃতীয় দেশ থেকে নেপাল সার আমদানি করলেও নেপালে ইউরিয়ার সংকট এতটাই বেড়েছে যে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে সরাসরি সার নেওয়াটাই বিকল্প মনে করছে দেশটি।
কর্ণফুলী ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে বাজার মূল্যে এসব ইউরিয়া ক্রয় করে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) নেপালের কেএসসিএল’র কাছে ওই হস্তান্তর করে।
গত ১ সেপ্টেম্বর নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার সহায়তা হিসেবে চান। এরপর গত বছর ১৭ ডিসেম্বর বিষয়টি নিয়ে চুক্তি সই হয়।
জিটুজি চুক্তি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও নেপালের পক্ষে দেশটির কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেড (কেএসসিএল) চুক্তিটি সই করে।
জানা গেছে, নেপালকে যে ইউরিয়া সার দেওয়া হয়েছে তার প্রতি টনের মূল্য ২৬৩ ডলার। সেই হিসাবে সারের দাম হবে ১১১ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।