সে কারণেই কিনা, বিশ্বরেকর্ডটা গড়ে সাঁতার যখন শেষ করলেন, টাইমিং বোর্ডে তাকিয়ে যেন হতবাকই হয়ে গেলেন তাতানা! বিশ্বাস হচ্ছিল না নিজের চোখকেই। সোনাটাও যে জেতা হয়ে গেছে, তা বলাই বাহুল্য। এর ফলে টোকিওতে চলমান অলিম্পিকে প্রথম সোনার দেখা পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টোকিও অ্যাকুয়াটিকস সেন্টার আগের দিনও দেখেছে বিশ্বরেকর্ড। তবে গতকাল ৪ গুণিতক ২০০ মিটার রিলেতে চীনকে যেভাবে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জিততে হয়েছে, তাতানাকে অবশ্য তেমন পরীক্ষা দিতে হয়নি। দুই আর তিনে থাকা আমেরিকান সাঁতারু কিং লিলি আর ল্যাজর অ্যানি সাঁতার শেষ করেছেন তার থেকে যথাক্রমে এক আর দুই সেকেন্ড পরে।
যদিও ৫০ আর ১০০ মিটারের মাইলফলক ছোঁয়ার সময় নারী ব্রেস্ট স্ট্রোকের বিশেষজ্ঞ লিলি একটু এগিয়ে ছিলেন তাতানা থেকে। তবে ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকের সোনাজয়ী লিলিকে পেছনে ফেলার পর তাতানার লড়াইটা যেন ছিল নিজের সঙ্গেই।
২০০ মিটার শেষমেশ তিনি শেষ করেছেন ২০ মিনিট ১৮.৯৫ সেকেন্ডে। এর ফলে ভেঙে যায় বিশ্বরেকর্ডও। ৭ বছর আগে ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রিকে মোলের পেডেরসেন ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে শেষ করেছিলেন ২ মিনিট ১৯.১১ সেকেন্ডে। সেটাকে দুইয়ে ঠেলে তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন তাতানা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাইয়ে দেন সোনার পদক।
চলতি অলিম্পিকে সাঁতার ডিসিপ্লিন ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম রেকর্ড দেখল তাতে। এর আগে গতকাল অবশ্য দলগত ইভেন্টে রেকর্ড ভেঙেছে দুটো। ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা আর ৪ গুণিতক ২০০ মিটার রিলেতে রেকর্ড গড়েন চীনা মেয়েরা।