শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের চাকরি চলে যাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কেন কারখানা খুলে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের অর্থনীতির কথাও ভাবতে হবে। রফতানিমুখী শিল্পের মধ্যে গার্মেন্টস অন্যতম। ৪০ থেকে ৫০ লাখ শ্রমিক এ খাতে কাজ করে। বাইরে থেকে অর্ডার নিতে হয়। অর্ডার বন্ধ হয়ে গেলে শিল্প ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারাবে। অর্থনীতিতে এর একটা প্রভাব পড়বে।
অতিথিদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, শুধু ঢাকায় অবস্থানরত শ্রমিকরা কারখানায় যোগদান করবে। ঢাকার বাইরে থেকে কেউ আসবে না। কোনো গণপরিবহন চলবে না। ঢাকার বাইরের শ্রমিকরা যে যেখানে আছে সে সেখানেই থাকবে। ৫ আগস্টের পর শ্রমিকরা পর্যায়ক্রমে কারাখানায় আসবে এবং কাজে যোগ দেবে। কারো চাকরি হারানোর ভয় নেই।
করোনা মহামারিতে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক (গার্মেন্ট) শিল্পে। ১৫ মাস ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ খাতে প্রায় ৪০১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি রপ্তানির আদেশ বাতিল হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী রোববার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।